|
|
|
|
জেলা সরকারি গণগ্রস্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (District Government Public Library, Brahmanbaria)
|
|
|
|
|
|
ইতিহাস (History) |
|
|
|
|
|
গণগ্রন্থাগার জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনা-সৃষ্টি, মূল্যবোধের বিকাশ, সর্বোপরি আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনে তথ্য পরিবেশন প্রভৃতি কাজে গনগ্রন্থাগরের ভূমিকা অপরিসীম ও অনন্যসাধারণ। শিক্ষা হলো জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া (Life long process)। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে যে শিক্ষা দেয়া হয় তা মূলত নির্দিষ্ট বয়স, কোর্স ও গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু গণগ্রন্থাগার শিশু, বয়স্ক, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং স্বাধীন ও মুক্ত চিন্তার অধিকারী সুনাগরিক সৃষ্টিতে গণগ্রন্থাগারই জ্ঞান, বুদ্ধি, মনন, চিন্তাশীল ও মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে। ১৮৫০ সালে ইংল্যান্ডে গণগ্রন্থাগার আইন পাশ হওয়ার পর এরই সূত্র ধরে এ উপমহাদেশে বেসরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালানো হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৮৫৪ সালে প্রথম বেসরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম বেসরকারি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রায় একশত বৎসর পর সরকারি গণগ্রন্থাগার যাত্রা শুরু করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (TSC) বিপরীতে পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা বিভাগের ১০-০৫-১৯৫৫ তারিখের ১৪৯১ শিক্ষা সংখ্যক আদেশ বলে ‘সোস্যাল আপলিফট’ প্রকল্পের অধীন এর অনুমোদন দেয়া হয় যাতে বলা হয় এ গ্রন্থাগার দেশের গণগ্রন্থাগার ব্যবস্থার মূল প্রতিষ্ঠান (Apex Organization) হিসেবে কাজ করবে। ষাটের দশকে সাবেক পাকিস্তান কাউন্সিলের আওতায় একটি করে গণগ্রন্থাগার এবং অন্যান্য জেলা ও মহকুমা সদরে BNR (Bureau of National Reconstruction এর আওতায় ‘তথ্য কেন্দ্র’ নামে একটি করে গ্রন্থাগার পরিচালিত হয়। স্বাধীনতার পর সাবেক পাকিস্তান কাউন্সিল ও BNR একীভূত হয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পরিষদ গঠিত হতে থাকে। ১৯৮২ সালের ১৫ জুন প্রধান সামরিক প্রশাসকের এক আদেশ বলে বাংলাদেশ পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। প্রশাসনিক পূনর্গঠন সংক্রান্ত সামরিক আইন কমিটি (এনাম কমিটি) সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহ ও বিলুপ্ত বাংলাদেশ পরিষদের অধীনে জেলা ও তৎকালীন মহকুমা (বর্তমানে জেলা) পর্যায় পর্যন্ত পরিচালিত গ্রন্থাগারসমূহ (তথ্য কেন্দ্র) সমন্বয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর গঠনের সুপারিশ করে। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয়ের ০৯-১১-৮৩ তারিখে ৭০০০২/১/সিভ-১ সংখ্যক প্রজ্ঞাপন মূলে উক্ত সুপারিশ অনুমোদিত হয়। তারই ফলশ্রতিতে ১৯৮৩ সালে বিলুপ্ত বাংলাদেশ পরিষদকে বিদ্যমান গণগ্রন্থাগার এর সাথে একীভূত করে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় বর্তমানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাাগার অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত সরকারি প্রতিষ্ঠান। স্থায়ী ভবনের পূর্বে গ্রন্থাগারটি টি.এ রোডে ভাড়া করা বাসায় পরিচালিত হয়। ২০১২ সালের ২৪ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র কুমারশীল মোড় নামক স্থানে নিজস্ব ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
[Public libraries are an integral part of knowledge-based society. The role of public librarians is immense and unique in the work of eliminating illiteracy and backwardness of thinking from the society, preservation and expansion of acquired education, creation of environment for self-education, creation of social and democratic consciousness, development of values, above all providing information for socio-economic needs. Education is a life long process. Education imparted through formal education system is mainly limited to certain age groups, courses and groups. But the public library creates opportunities for continuous education for children, the elderly, religion, and caste, and the public library creates the opportunity to develop knowledge, intelligence, thinking, thinking and talent in creating a good citizen with independent and free thinking. After the Public Library Act was passed in England in 1850, efforts were made to establish private public libraries in this subcontinent. As a result, the first private public library was established in 1854. Almost a hundred years after the establishment of the first private public library, the public public library began its journey. On 5 February 1954, the foundation stone of the East Pakistan Central Public Library was laid opposite the Student-Teacher Center (TSC) of Dhaka University in the then East Pakistan. It was approved under the 'Social Uplift' project by the Education Order No. 1491 dated 10-05-1955 of the then East Pakistan Government Education Department which states that this library will serve as the apex organization of the country's public library system. In the 1960s, one public library was run under the former Pakistan Council and one library called 'Tathya Kendra' was run under the BNR (Bureau of National Reconstruction) in other district and sub-divisional headquarters. After independence, the former Pakistan Council and BNR merged to form the Bangladesh Parishad under the Ministry of Information. The Bangladesh Parishad was abolished by an order of the Chief Military Administrator on 15 June 1982. The Military Law Committee on Administrative Reorganization (Enam Committee) of the Government Public Libraries and Libraries under the defunct Bangladesh Parishad at the District and then Sub-Divisional (now District) levels (information Center) recommended the formation of Directorate of Public Libraries. The said recommendation was approved based on notification number 70002/1/Civ-1 dated 09-11-83 of the Secretariat of the Chief Martial Law Administrator. As a result of that, the Bangladesh Parishad dissolved in 1983 was merged with the existing Public Libraries to form the Directorate of Public Libraries. is established. District Government Public Library, Brahmanbaria office is currently a government institution controlled by the Directorate of Public Libraries under the Ministry of Cultural Affairs. Prior to the permanent building, the library was run in a rented house on TA Road. On July 24, 2012, Brahmanbaria district started its official journey to its own building at Kumarsheel Mor, the heart of the city.] |
|
|
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস